শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

তুষার, নদী, নারী এবং মৃত্যু কফিনের গল্প [ গল্প # ৬৩ ]

তুষার, নদী, নারী এবং মৃত্যু কফিনের গল্প
==========================
একটা অজ পাড়াগাঁয়ে বসতি থাকলেও, স্কুল জীবন থেকেই পড়ালেখা আর জ্ঞানের প্রতি ভীষণ ঝোঁক ছিল আমার। ৮ম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ৫-টি সুন্দর ঝকঝকে রঙিন বাঙলা পত্রিকা পেতাম আমি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে। প্রতি সপ্তাহে যখন সপ্তবর্ণা সুঘ্রাণের সোভিয়েত ইউনিয়ন, সোভিয়েত নারী, উদয়ন, যুববার্তা, আর 'সোভিয়েত সমীক্ষা' আসতো প্রগতি প্রকাশন, জুবভস্কি বুলভার, মস্কো থেকে সরাসরি এক ভাঙা গ্রামীণ স্কুলে, তখন সত্যিই টিচারসহ অনেকেই বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকাতো আমার দিকে। খুব পড়ুয়া আর যৌক্তিক ছিলাম আমি। পরপর ৩-বার সোভিয়েত মানুষ আর জীবন সম্পর্কে ঐসব পত্রিকায় প্রকাশিত কুইজের উত্তর দিয়ে গিফট পেলাম আমি সোভিয়েত সরকার থেকে। স্কুলে থাকতেই কিশোর বয়সে ডাক এলো আমার সোভিয়েত ভ্রমণের। জীবনে ঢাকার বাইরে যা্ইনি কোথাও আমি। সেই আমি একসময় ৮-জনের এক গ্রুপে 'এ্যারোফ্লো'তে পৌঁছলাম মস্কোতে। জীবনে প্রথম বিমানে উঠে সে কি শিহরণ আর ভয়! তা আরেকদিন বলবো আরেক জীবনপাতাতে !
: 
২১-দিনের এ শিক্ষাভ্রমণে ৪-দিন মস্কোতে ছিলাম আমরা। অনেক ঐতিহাসিক স্থান ঘুরলাম লেলিনগ্রাদ, মস্কোতে সরকারি প্রতিনিধিদের সাথে, যা কিছুটা স্মৃতিতে ঝাপসা এখন। কিন্তু যেটা এতোদিনেও আমার স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে ছবির মত ভাসতে তা হচ্ছে, ১৪-দিন 'ইউলিনা দুদিয়ানা' পরিবারের সাথে আমার আনন্দ আর বেদনার যাপিত জীবন। আমাদের ৮-জন শিক্ষার্থীতে ৮-টা সোভিয়েত গ্রামীণ পরিবারের সাথে দু-সপ্তাহের জন্যে সংযুক্ত করা হয়েছিল। যাতে সোভিয়েত জীবনধারা একদম কাছ থেকে দেখে তা বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি আমরা। মস্কো থেকে অনেক দুরে মঙ্গোলিয়া সীমান্তের বেশ উত্তরে বৈকাল হৃদের সন্নিকটে 'ইরকুটস্ক' জেলার 'নভো-ইরকুটস্ক' নামের গ্রামটিতে কাঠের দোতলা বাড়িতে বাস করতো 'ইউলিনা দুদিয়ানা'র পরিবার। স্বামী আন্না আলেক্সান্দর, সতের বছরের ছেলে 'উলিয়ানভ', আর পনেরো বছরের মেয়ে 'ইলিয়া দিমিত্রি'-কে নিয়ে সমবায়ি কৃষি খামারের 'সুপার' বা 'ম্যানেজার' হিসেবে ঐ খামারের একটা বাড়িতেই বসবাস করতো ইউলিনার পরিবার। ওপরের তলায় থাকতো ছেলেমেয়ে আর নিচে তারা। সমবয়সি শিক্ষার্থী হিসেবে আমাকেও্ থাকতে দেয়া হয়েছিল ওপরে দুভাইবোনের সাথে। বৈকাল হ্রদের তীরে 'নাদেজদা কনস্তানতিনোভনা ক্রুপস্কায়া' স্টেট সেকেন্ডারি স্কুলে পড়তো দুভাইবোন। ওদের সাথে দুবার ঐ স্কুলে গিয়েছিলাম আমি, ক্লাসেও বসেছিলাম শিক্ষার্থীদের মতই। রুশ ভাষা ছাড়াও ওরা স্কুলে শিখতো 'চুভাশ' ভাষা। আমি সামান্য দুচারটি রুশ শব্দ ছাড়া কিছুই বুঝতাম না। কেবল তাকিয়ে থাকতাম সবার মুখের দিকে অদ্ভুৎ বি্স্ময়ে।
:
'নভো-ইরকুটস্ক' গাঁয়ের প্রায় সব নারী পুরুষ কাজ করছো কৃষি খামারে। সোভিয়েত নারীরা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে সমানে চলতো পুরুষের সাথে। এমনকি 'নভো-ইরকুটস্ক' গাঁয়ের কৃষি খামারটি ছিল 'ইউলিনা দুদিয়ানা' নামের ঐ নারীর নিয়ন্ত্রণে। 
সমতার বীজ বপনকৃত এমনসব মানুষের আলোতে সম্ভবত আলোকিত হয়েছি আমি। প্রায় সারাদিন হেঁটে হেঁটে পুরো খামার দেখতাম এক পরমানন্দের মার্গে। গম, আলু, ভুট্টা, আর নানাবিধ সবজি ছাড়াও অনেক ফুলের চাষও হতো খামারে। 'হার্বেস্টার কম্বাইন্ড' নামে এক ফসল কাটার যন্ত্রে গম কাটা হতো তখন। আমি অনেকবার ঐ যন্ত্রে উঠে বসেছিলাম ড্রাইভারের পাশে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সবাই কাজ করতো খামারে। কেউ ফসল লাগাতো, কেউ যত্ন করতো, কেউবা তুলে নিতো বাজারজাত করণের জন্যে। তামাটে বাঙালি হিসেবে 'নভো-ইরকুটস্ক'র সব সাদা মানুষের মাঝে আমার বেশ কদর ছিল। কারো ভাষা আমি বুঝতাম না, কেউ বুজতো না আমার ভাষা, তারপরো সবাই হেসে-হেসে কথা কইতো আমার সাথে। মেয়েদের কোন মেকাপ বা রূপচর্চা করতে দেখিনি ওখানে, তা ছাড়াই তাদের রূপ অনন্য মুগ্ধতায় ভরা ছিল। স্লোভাক নৃগোষ্ঠী আর সংস্কৃতির সংমিশ্রণে গাঁয়ের রং ছিল ওদের ঝকঝকে। কৃষিতে যৌথীকরণ তথা কৃষক যৌথ খামারের আওতায় চলে এসেছিল পুরো গ্রাম। হাজার চারেক মানুষের সবাই কৃষক ছিল, কেবল ৪-জন কামার আর অন্য পেশার কজন মানুষ ছাড়া। 
:
বৈকাল হ্রদ ছিল 'নভো-ইরকুটস্ক' গ্রাম থেকে দুঘন্টার পথ। আমরা ট্রান্স সাইবেরিয় ট্রেনে চেপে ছুটির দিনে বৈকাল হ্রদে গিয়েছিলাম একদিন। এটি ছিল সাইবেরিয়ার দক্ষিণভাগে অবস্থিত একটি সুপেয় পানির মুগ্ধকর হ্রদ। এর উত্তরে ছিল 'ইর্কুৎস্ক' আর 'ওবলাস্ত' শহর। 'ওব' আর 'লেনা' থেকে সৃষ্ট ছোটনদী 'আঙ্গারা'র মাধ্যমে হ্রদের পানি বাইরে নিষ্কাশিত হতো প্রতিদিন। হ্রদের পানি তুষারময় থাকলেও, আঙ্গারা নদীর জল বরফে জমে গিয়েছিল। আমরা প্লান করলান স্কুল ছুটির দিন আঙ্গারা নদীর বরফে দৌঁড়োবো সবাই মিলে। একদিন আমরা ঘুরতে গেলাম ইভালগিনস্কীর উরাল ঘনবনময় পর্বতমালায়। যেখান থেকে দেখা যেতো উত্তর থেকে দক্ষিণের তুন্দ্রা, তৈগা, স্তেপ ও অর্ধ-ঊষর বরফাচ্ছিত মরুভূমি। সেখানেও মানুষ বাস করতো অদ্ভুৎ সব পোশাক পরে, নানা প্রতিকুলতায় ফলাতো তারা গম, যব, আর ভুট্টা। এক বিস্ময়কর জীবনে বেঁচে থাকতে দেখেছি মানুষদের। 
:
খাবার খুব কম খেলেও, প্রায় সবাই রাতে ভদকা থেতো ও এলাকার মানুষেরা। গাঁয়ের দোকানে প্রাপ্তবয়স্ক নারীপুরুষ প্রত্যেকেই সপ্তাহে এক বোতল ভদকা পেতো ফ্রি। তারপরো ২-রুবেল ১৫-কোপেইকে কিনতে পাওয়া যেতো, ভদকার পুরো বোতল। ইউলিনা আর তার স্বামী আন্না আলেক্সান্দর রাত ৯-টার পরই ভদকা খেয়ে টাল হতো প্রায় প্রতিদিন। কৈশোরিক চপলতায় বন্ধু 'উলিয়ানভ' আর 'ইলিয়া'কে একদিন বললাম, ভদকা খেলে কি হয়? এক ফাঁকে তারা কিচেন থেকে নিয়ে আসে পুরো ভদকার বোতল। ৩-জনে দোতলার দরজা বন্ধ করে ভদকা খাই অনেকক্ষণ। কিন্তু কিছুই বুঝিনি আমি, কি খেলাম, কেন খেলাম, কি হয়েছিল রাতে সেদিন। তবে এক স্বপ্নের মাঝে উড়েছিলাম তা মনে আছে আমার। পরদিন ধরা পড়লে আমাকে দেখিয়ে 'উলিয়ানভ' আর 'ইলিয়া' রক্ষা পায় মা-বাবার চোখরাঙানি থেকে।
:
'নভো-ইরকুটস্ক' এলাকাটি রাশিয়ান শীতলতম এলাকা হিসেবে প্রায় সারাবছর হিমশীতল এবং শৈত্যপূর্ণ থাকতো। অতিরিক্ত তুষারপাতে বরফাচ্ছন্ন থাকতো রাস্তাগুলো প্রায়ই। কখনো শৈত্যপ্রবাহ সৃষ্টি হয়ে সারাদিন হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ওক কাঠ জ্বালিয়ে ঘরে বসে থাকতাম আমরা সবাই চুল্লির পাশে। কিন্তু পরক্ষণেই আবার ঝকঝকে রোদ উঠতো ফসলের মাঠে। ২০-৩০ মিনিটে তুষার ঝেরে ফসলের গাছগুলো সজিবতা ফিরে পেয়ে হেসে উঠতো খিলখিলিয়ে ।
:
আমার চলে আসার ঠিক আগেরদিন আমরা ইউলিনার পুরো পরিবার আর কজন প্রতিবেশি মিলে 'স্কি' করতে গেলাম 'ওব' আর 'লেনা' থেকে সৃষ্ট ছোটনদী 'আঙ্গারা'য়, যেটি তখন ঢাকা ছিল ঘন তুষারে। ছেলে 'উলিয়ানভ', আর মেয়ে 'ইলিয়া' স্কিতে পারদর্শী ছিল খুব। আমি কবার চেষ্টা করে অদক্ষতায় পরে গেলাম পিচ্ছিল বরফে অদর্শনীয়ভাবে। সবার হাসি দেখে তাই বসে পড়লাম মা ইউলিনা, আর বাবা আন্নার পাশে। ওরা 'স্কি' করতে করতে অনেক দূরে চলে গেল। ওদের প্রতি ঈর্ষা জাগলো আমার, আর চুল ছিঁড়তে ই্চ্ছে করছিল নিজের ব্যর্থতায়। কিন্তু হঠাৎ বিস্মিত করে ১৭-বছরের দক্ষ উলিয়ানভ ডুবে গেল একটা বরফের চোরা গর্তে। বোন ইলিয়া তাকে উদ্ধারে গিয়ে আরেকটা ছোট গর্তে পরে গেল সেও। বিশ্রামরত আমরা ৪-৫ জনে দৌঁড়ে গেলাম ও্দের নৈকট্যে। অনেক সাবধান আর সতকর্তায় রশি ছুঁড়ে ইলিয়াকে টেনে তুলতে পারলেও, ১৭-বছরের টকটকে স্বণার্ভ চুলের 'উলিয়ানভ'কে আর খুঁজে পেলাম না আমরা। মূহূর্তে 'উলিয়ানভ' হারিয়ে গেল মা, বাবা, বোন আর স্বল্পদিনের এক বিদেশি বন্ধুর চোখের সামনেই। খবর পেয়ে Baikal rescue team এলো ঘন্টা খানেক পরে। বিশেষ কৌশলে বরফগর্তে নেমে তারা তুলে আনলো উলিয়ানভের শীতার্ত লাশ। 
:
সকালে ফেরার পালা আমার। সরকারি একজন প্রতিনিধি এসেছে মস্কোর ট্রেনে তুলে দেবে আমায়। প্রায় ১৩-দিন একসাথে থাকা উলিয়ানভের গন্ধ্যেভরা ন্যুব্জপীঠ পানশালা থেকে বেড়োই নিজের জিনিসপত্র নিয়ে। বুকের তোরঙ্গে রাখা রৌরব নরকের দাহ নিয়ে নিচে নামি আমি। বাইরে প্রচন্ড তুষারের মধ্যে একটা কফিনে রাখা হয়েছে উলিয়ানভের দেহ। ভেতরে কম্পমান চোখের জলে স্নাত এক বিদেশি কিশোর, যাদের দুজনকেই্ বিদায় দিতে দাঁড়িয়ে মা ইউলিনা দুদিয়ানা, বাবা আন্না আলেক্সান্দর আর মেয়ে ইলিয়া দিমিত্রি। ওদের ৩-জনের দিকে তাকিয়ে কিছুই বলতে পারিনা আমি। এক দ্যোতনাহীন, ব্যঞ্জনাবিহীন, সাচীকৃত হেমন্তের শীতে হাত কাঁপতে থাকে আমার। হারাণো হিমেল প্রেমের মৃত ঘণ্টার মত মাকে জড়িয়ে ধরি হৃদয়ের নিভৃত ভালবাসায়। ওরা ৩-জনে ডুকরে কেঁদে ওঠে এক সাথে। আমার শরীরের জিনের মধ্যে জন্ম নেয়া মানবিক অসুখে সংক্রামিত হয়ে ৪-জনে একত্রে ফুল দেই মৃতের কফিনে। 
:
একসাথে গাড়ি ছাড়ে আমাদের। একটাতে আমি যা্চ্ছি Irkutsk-Passazhirskiy ট্রেন স্টেশনে মস্কোগামি ট্রেন ধরতে। অন্যটাতে উলিয়ানভের কফিন সরকারি Funeral Cave এ এক অন্ধকার জীবনের ট্রেন ধরতে।
:
ব্লাদিভস্তক থেকে ছেড়ে আসা ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ের এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠলাম Passazhirskiy স্টেশন থেকে। সব রুশ মানুষের মাঝে সম্ভবত আমিই কফিবর্ণা বিদেশি। এবার তুষার থেমে সূর্যকরোজ্জ্বল হেমন্তের রোদ উঠলো ট্রেনে। মেঠো ইঁদুরের আদিম যৌনতার মত ট্রাকে জমা তুষার কেটেকেটে ট্রেন দৌঁড়ুতে শুরু করে আমাদের গন্তব্যে। ভলগা, কিয়েভ, লেনা, উফা, সামারা, নভোসিভিরস্ক, পার্ম, নভগরেদ, কোভেত, গ্রাচি আরো কত নাম না জানা গাঁ, নগর, নদী পার হয়ে ট্রেন চলে জীবনের দিকে। ট্রেন জার্নির আজন্ম লালিত আমার সব ভাললাগারা এবার নিস্পৃহ থাকে কি এক অবোধ গুমোট কান্নায়। লবণগোলা তিক্ত নোনতা জলের মত সব সুন্দরের মেঘেরা দুরে চলে যেতে থাকে আমার। পুরো ট্রেনে কষ্টের ক্ষতমুখেরা হাঁ করে বিকট গন্ধ ছড়ায় নাকে আর বোধে আমার। স্বপ্ন বীজের ক্রোড়ে বেঁচে থাকা জীবন এক নিরর্থক যন্ত্রণা মনে হয়। এই ঝড়ের মত ছুটে চলা ট্রেনটাকে একটা মৃত্যু কফিন হিসেবে দেখি, যার ভেতরে উলিয়ানভের মত আমার লাশ। ট্রেনটি ছুটে চলছে অস্তিত্ববিলীন এক মৃত্যুনগরীর দিকে; যেখানে কোন জীবন নেই, ভালবাসা নেই, হাসি নেই, নারী নেই, প্রেম নেই, ফুল নেই, পাখি নেই। কেবল আছে পুতিগন্ধময় প্রেমহীন শ্বাসরুদ্ধকর অসুখকর এক বুড়ো নৌকো। যে ক্লেদময় ভঙ্গুর নৌকোয় হিংসা বুননে চলে প্রতিক্ষণে সুন্দর স্বপ্নের ব্যবচ্ছেদ। 'প্রেতরাইকা' স্টেশনের পর রাত নামে 'ব্লাদিভস্তক' ট্রেনে। নির্নিমেষ জ্যোৎস্নায় স্নাত হয় রুশিয় আকাশ। এ মৃত্যু কফিনে শুয়ে শুয়ে আমি গুণতে থাকি খসে পরা নক্ষত্র আর উল্কারাজিদের। যার মাঝে আমি আছি, আছে উলিয়ানভ কিন্তু ইলিয়া দিমিত্রি নেই কেন? সে কি খসে পরা উল্কাপি্ণ্ড হবে না কখনো?


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন